ছবিঃ রাফা ইসলাম আলমগীর

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কবি সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্যের বই ‘লোকাল ট্রেনের জার্নাল’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি মুক্তগদ্য রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত। মেলার প্রথমদিন থেকেই বইটি মেলার ২২৯ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

নতুন ধরনের গদ্য লিখছেন সাম্য রাইয়ান। এতে উঠে এসেছে তার পাঠ, সমসাময়িক জীবন-যাপন। মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক। সম্পর্কের জটিল স্তর। 
বইমেলায় পাঠকের হাতে ‘লোকাল ট্রেনের জার্নাল’৷ ছবিঃ আদিবা

‘লোকাল ট্রেনের জার্নাল’ গ্রন্থের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাইলে লেখক বলেন, “গদ্য লিখি অনেকদিন৷ মুক্তগদ্য লিখছি প্রায় দশ বছর৷ দুই হাজার এগারোতে
স্টলে লোকাল ট্রেনের জার্নাল

বিশেষ ধরণের মুক্তগদ্য লিখতে শুরু করি, এগুলো কবিতা নিয়ে, কিন্তু কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা নয়, বরং কবিতা পড়তে পড়তে আমার মধ্যে যে ভাবের উদয় হয়েছে, যে অনুভূতি তৈরি হয়েছে তারই বর্ণনা৷ অকপটে গদ্যের শরীরে সংযুক্ত করেছি অ-নে-ক কবির কবিতাংশ৷ কোনো কবিতা পড়ার সময় হয়তো আমার ছেলেবেলার কোনো ঘটনা মনে পড়েছে বা কোনো এক রাতের দৃশ্য মনে পড়েছে, কিংবা নতুন কোনো চিত্রকল্প ভেবেছি সেইসবই বর্ণনা করে গেছি৷ ফলে এ গদ্য কখনো কবিতার মতো এগিয়েছে আবার কখনো গল্প, আবার কখনো প্রবন্ধের রূপ ধারণ করছে হয়তো এক/আধখানা অনুচ্ছেদে৷ এরকমই হয়েছে৷”

ছবিঃ রাইজিংবিডি পত্রিকা থেকে

তিনি আরও বলেন, “কিছু মুক্তগদ্য আছে যেগুলো নীরেট অনুভূতি দিয়ে গাঁথা৷ প্রলাপও বলা যায়৷ অন্ধকারের কুঠুরীতে বসে বকে যাওয়া কথামালা৷ জলের তরঙ্গ কিংবা শিশির-বিন্দু-প্রবাহের অনুভূতি তৈরি করবে মনে৷ এইসব বেখেয়ালী রচনাকতক— আসলে একটা জার্নি— এই ট্রেন পাঠককে নির্দিষ্ট কোথাও পৌঁছে দেবে না, বরং যেতেই থাকবে৷ যতক্ষণ তার ইচ্ছে হবে যাত্রা করবে, কোনো রূপে আটকে গেলে ট্রেন থেকে নেমে যাবে— এটা তো লোকাল ট্রেন…”
বইমেলায় সাম্য রাইয়ান৷ ছবিঃ রুহুল মাহফুজ জয়

সাম্য রাইয়ানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুড়িগ্রামে। ২০০৬ থেকে সম্পাদনা করছেন লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’। এর আগে প্রকাশিত হয় ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’ (২০১৫), ‘মার্কস যদি জানতেন’ (২০১৮), ‘হলুদ পাহাড়’ (২০১৯) ও ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ (২০২০)। এ সবই কবিতার বই। এর বাইরে তিনি লিখেছেন ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’ (২০১৪)।