অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১-এ প্রকাশিত হচ্ছে কবি ও গদ্যকার আহমেদ মওদুদের কবিতার বই ‘দুঃস্বপ্নের চিরস্থায়ী বাগানে’। বইটি প্রকাশ করছে ঘাসফুল প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
আহমেদ মওদুদ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮১ খিস্টাব্দে, রংপুর শহরের মাহিগঞ্জে। মহিন্দ্রাফতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আফানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে মাহিগঞ্জ কলেজ ও কারমাইকেল কলেজে একাডেমিক পাঠের সমাপ্তি ঘটে। লিটলম্যাগের অন্যতম যোদ্ধা, কাজ করছেন লিটলম্যাগ বিন্দুর সাথে। প্রধানত কবিতা, গদ্য, কিশোর উপন্যাস লিখেন। প্রকৃতই কবি-জীবন যাপন করেন। পৈতৃক ভিটেয় শিশুর মনন বিকাশে প্রচলিত ধারণার বাইরের পাঠশালা ‘আনন্দপাঠ’ গড়েছেন।
কবিতাভাবনা জানতে চাইলে কবি বলেন, “কবিতাকে আমার কাছে কবির অন্তর্দহনের নির্যাস মনে হয়। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি। সম্ভবত অন্তর্গত যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য কবিতা লেখা। সম্ভবত আত্মহত্যার পরিবর্তে কবিতার কাছে আশ্রয় নেওয়া। মানুষ মাত্রই আশ্রয়প্রবণ। যুগে যুগে মানুষ আশ্রয় খুঁজেছে। আর সংবেদনশীল মানুষের প্রার্থীত আশ্রয় যতটা না দৈহিক তার অধিক মনোজাগতিক। সম্ভবত কবিতা মানুষের শেষ আশ্রয়। এটা কেবল সংবেদনশীল মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। একজন সাধারণ মানুষও দীর্ঘশ্বাসের পাশাপাশি কবিতার দু’টি চরণ আওড়াতে আওড়াতে উপসংহারে পৌঁছান। আমি আমার একাকীত্বে কবিতাকে সাথী করি, কবিতার পথ বেয়ে শৈশবে পৌঁছাই, ভবিষ্যতে ঘুরে আমি বর্তমানকে পর্যবেক্ষণ করি কবিতার চোখে চোখ রেখে। কবিতাই আমার দর্শন। দর্শনই আমার কবিতা।”
প্রকাশিতব্য বইটি সম্পর্কে আহমেদ মওদুদ বলেন, “২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত লেখা কবিতাগুলো নিয়ে এই বই। এতে খন্ডচিত্র নামে একটা অংশ রয়েছে যেটা মূলত ২০১২ সালে বাঙ্ময় থেকে এক ফর্মা সিরিজের বই হিসেবে বের হয়। চরিত্রের দিক থেকে কাছাকাছি হওয়ায় এগুলোকে ‘খন্ডচিত্র’ নাম দিয়ে মূল বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কবিতাগুলো প্রকৃত পাঠককে হতাশ করবে না বলে মনে করি। বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ায় ঘাসফুল প্রকাশনীকে সাধুবাদ জানাই৷”
বইটি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঘাসফুল প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে৷
তাঁর পূর্ব প্রকাশিত কবিতাবই: দেহের আড়ালে থেকে প্রকৃত স্বজন (২০০৯); দুঃস্বপ্নের চিরস্থায়ী বাগানের খন্ডচিত্র (২০১২); দুঃস্বপ্নের চিরস্থায়ী বাগানে (২০১৮)। এছাড়া কিশোর উপন্যাস: কিশোর (২০০৭); কবি (২০১৭)।
গবেষণা-পুস্তক: রংপুরের লোকছড়া (২০১৭)।
জীবনীগ্রন্থ: বিদ্যাসাগর (২০২০)।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।