কবি ও লিটলম্যাগ ‘কৌরব’ সম্পাদক বারীন ঘোষাল স্মরণ
জগৎটা অস্বীকার করেও আমি সেখানে একটা হাওয়াকল খুঁজি।
দেশকে অস্বীকার করে আমি একটা বাড়ি বানাতে চাই।
ভাষাকে অস্বীকার করে গড়ে তুলি নিজের জন্য ভাষা।
হৃম জানালো এটা একটা রোগ, এবং এই রোগটা পুষতে বললো আমায়।
আমিও পুষতে থাকলাম।...
— বারীন ঘোষাল

২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর প্রয়াত হন লিটলম্যাগ ‘কৌরব’ সম্পাদক কবি বারীন ঘোষাল৷

কবি স্বপন রায় এক প্রবন্ধে বারীন ঘোষাল সম্বন্ধে লিখেছেন, “বারীনদা, কবি বারীন ঘোষাল নেই। আমার কাছে , আমাদের কাছে ‘বারীনদা’ এই ডাকটার কোন উত্তর আর আসবে না। মানুষ মরণশীল। সবাইকেই উত্তর না দেয়ার জায়গায় যেতে হবে। বারীনদা, কবি বারীন ঘোষালও (১৯৪৪-২০১৭) চলে গেছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয় যে চলে যাওয়া মানুষটা দৈনন্দিনের বাইরে থাকা কোন প্রশ্নের উত্তর না খুঁজেই চলে যান। কেউ কেউ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমি ‘আমি’ ‘আমি’ করে যান সারাজীবন। উত্তরটা যদিও জরুরী নয়। উত্তর খোঁজার রাস্তাটা জরুরী। কারণ উত্তর দেয়ার মধ্যেও আহৃত জ্ঞানের একটা ব্যাপার থাকে। অহং থাকে। হামবড়াই থাকে। বারীনদা আজীবন খোঁজেই ছিল, কবিতার খোঁজ। আর সেটা পড়াশোনার আবহে নয়, চেতনার আবহে।”

এ প্রসঙ্গে লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ সম্পাদক সাম্য রাইয়ান তার এক গদ্যে লিখেছেন, “কিছু মৃত্যু, আমাকে স্তব্ধ করে দেয়৷ আমি কঠিন বরফের মতো চুপ হয়ে যাই৷ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি৷ বুঝতে পারি না আমার কী করা উচিৎ! বারীন ঘোষালের মৃত্যু আমাকে এমনই রূঢ় বাস্তবতার ভাগাড়ে নিক্ষেপ করেছে৷ তার পর থেকেই অস্বস্তি হচ্ছে, চারিদিকে কেমন একটা গন্ধ গন্ধ পাচ্ছি৷ ভাগাড়ে গন্ধই তো থাকবে৷ তবুও, সুগন্ধ ছাড়িয়া দুর্গন্ধে কে থাকিতে চায় হে, কে থাকিতে চায়? জনাব ঘোষাল মৃত্যুবরণ করলেন৷ প্রথমত আমার খুব মন খারাপ হলো৷ কষ্ট হলো৷ তারপর, ক্রমাগত, প্রতিদিন, আমি অস্বস্তি অনুভব করলাম৷ দু’রাতে ঘুমুতে পেলাম না গোপনে! দুপুরে ভাতঘুমও উধাও! কিন্তু আমি এর কারণ জানি না কিছু৷”

অনুষ্ঠানের ব্যানার
বারীন ঘোষাল স্মরণে ওয়েবজিন অংশুমালী অনলাইনে স্মরণসভা আয়োজন করেছে৷ অংশুমালী সম্পাদক জোবায়ের সন্ধি ফেসবুকে লিখেছেন, “আজ বারীন দা'র মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের দিনে কবি বারীন ঘোষাল আমাদের ছেড়ে চলে যান। এ উপলক্ষে অংশুমালী আয়োজন করেছে স্মরণে বারীন ঘোষাল শিরোনামে লাইভ আলোচনা অনুষ্ঠান।”

তিনি আরো লিখেছেন, “হার্ট বাইপাস সার্জারি ও হার্টে স্টেন্ট বসানোর পরে আজই প্রথম ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও হার্টে ড্রাফটিং পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিরাপদ না হবার কারণে অল্প কথা বলবো। কৌশল হিসেবে চেষ্টা করবো উপস্থাপনার কাজটা কবি উমাপদ করের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার।”

সভাটি প্রচারিত হয়েছে অংশুমালীর ফেসবুক পেজ থেকে৷ ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন